যত গর্জে তত বর্ষে না—প্রবাদটি এবার পরিচালক সাজিদ খানকে আপন করে নিতেই
হবে। ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি ছবি (হেই বেবি, হাউজফুল, হাউজফুল টু)
ব্লকবাস্টার হিট হওয়ায় সাজিদ আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন। ১৯৮৩ সালে
ব্লকবাস্টার হিম্মতওয়ালা রিমেক শুরু করার আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এ ছবিটি
হবে আমার ক্যারিয়ারের সেরা ছবি। অজয় দেবগনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড়
হিট ছবি। ছবিতে অজয়ের আগমন-দৃশ্য তো রীতিমতো সর্বকালের সেরা একটি দৃশ্য
হিসেবে বিবেচিত হবে। লিখে রাখুন।’ লিখে রাখতে হয়নি, এ সপ্তাহে
হিম্মতওয়ালা মুক্তি পাওয়ার পর সবাই স্মৃতি হাতড়ে সাজিদের কথাগুলোই
বারবার মনে করছেন, আর ফেসবুক, টুইটারে বন্যা বইয়ে দিয়েছেন একের পর এক
মন্তব্য করে। হিম্মতওয়ালা শুধু ফ্লপই করেনি, সাজিদের প্রিয় শব্দ
‘সর্বকাল’ যুক্ত করে বলা যায়, সর্বকালের সমালোচিত ছবির একটি হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে অজয় ও দক্ষিণের তামান্না ভাটিয়ার ছবি হিম্মতওয়ালা।
অভিনেতা কামাল আর খান টুইটস দিয়েছেন, ‘চিন্তায় পড়ে গেলাম। সেরা বাজে
নির্মাতার লড়াইয়ে কি সাজিদ খান বোন ফারাহ খান (তিস মার খান), দুলাভাই
শিরিশ কুন্দরকে (জোকার) হারিয়ে দিল?’ অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সির স্ত্রী
মারিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে জেন ছবির প্রোমোতে একটি বাঘ দেখে আমাকে ছবি দেখতে
নিয়ে গেছে। কিন্তু এই ছবি দেখার পর আমরা মা-ছেলে দুজনই অসুস্থ হয়ে
পড়েছি। এ যেন রীতিমতো মানসিক অত্যাচার! খোদা, আমাদের বাঁচাও।’ সমালোচক কমল
নাহতা কৌতুক করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সঞ্জয় দত্তকে তাঁর শাস্তি বেছে
নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। পাঁচ বছরের জেল নাকি হিম্মতওয়ালার টিকিট?
বুদ্ধিমান সঞ্জয় জেল খাটতে রাজি হয়েছেন!’ কলামিস্ট শোভা দে বলেন, ‘শুনেছি
সাজিদ বলেছেন, হিম্মতওয়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবি। এই তথ্য বিবেচনায় তাঁর
দুলাভাই শিরিশের ছবি জোকার অস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।’ জনপ্রিয়
উপস্থাপক মনীষ পাল বলেন, ‘পাগলাগারদে কখনো যাওয়া হয়নি? অভিজ্ঞতা
প্রয়োজন? চিন্তা নেই। হিম্মতওয়ালার একটি টিকিটই আপনাকে পাগলাগারদে ভর্তি
হতে বাধ্য করবে।’
বোর্ড পরীক্ষার ক্রান্তিলগ্নে, আইপিএলের সপ্তাহে অতি আত্মবিশ্বাসের জোরেই সাজিদ এ সপ্তাহে তাঁর ছবি মুক্তি দিয়েছিলেন। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, ‘আমার ছবি বলিউডের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনবে। রজতজয়ন্তী সপ্তাহ, সুবর্ণজয়ন্তী সপ্তাহ পালন করবে দর্শক। দু-তিন মাস লাগাতার প্রদর্শন হবে হিম্মতওয়ালা।’ বাস্তবতা হলো, অনেক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেই ছবিটি নামিয়ে দুই সপ্তাহ আগের ছবি জলি এল এল বি প্রদর্শন করছেন হলমালিকেরা। আমজনতা এই ছবিকে ‘ফ্লপবাস্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করতেও কার্পণ্য করছে না। একটি ছবি কোনো কারণে মানহীন হতেই পারে। তাই বলে এত সমালোচনার কারণ কী? এর উত্তর দিয়েছেন চলচ্চিত্রবিশ্লেষক তরণ আদর্শ। তিনি বলেন, ‘মা-ছেলের মেলোড্রামা, নায়ক-ভিলেন দ্বন্দ্ব, আশির দশকের প্রেক্ষাপট এখনকার দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। শ্রীদেবী-
শ্রীদেবী নিজেও অবশ্য ছবিটি রিমেক করা নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, হিম্মতওয়ালা কোনো মুঘলে আজম নয় যে রিমেক করতে হবে। প্রত্যুত্তরে ছবি মুক্তির আগে অজয় বলেছিলেন, ‘শ্রীদেবী ঠিকই বলেছেন। হিম্মতওয়ালা মুঘলে আজম নয়। মুঘলে আজম্ল-এর জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আমরা মুঘলে আজম রিমেক করিনি, হিম্মতওয়ালা করেছি। শ্রীদেবী-জিতেন্দ্রর হিম্মতওয়ালাকে আমরা ছাড়িয়ে যাব।’ ছবি মুক্তির পর অবশ্য অজয় এবং নিজেকে হিন্দি ছবির এনসাইক্লোপিডিয়া দাবি করা পরিচালক সাজিদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। হিম্মত হারিয়েছেন হিম্মতওয়ালারা!
রুম্মান রশীদ খান
টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, টুইটার, ফিল্মফেয়ার, বলিউড হাঙ্গামা, বক্স অফিস ইন্ডিয়া, রেডিফ অবলম্বনে
জিতেন্দ্রর হিম্মতওয়ালার রীতিমতো প্যারোডি সংস্করণ করেছেন সাজিদ। প্রেম, ড্রামা, অ্যাকশন, নাচ, গান—কোনো কিছুই উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। তুলনায় এ ছবিতে একটি বাঘ ও পরেশ রাওয়াল হাততালি পেয়েছেন। ভিলেন মহেশ মঞ্জেরকরকে দেখে দর্শক ভয় পাওয়া তো দূরে থাক, তাঁর সংলাপ শুনে হেসে কুটিকুটি হয়েছেন। ভিলেনের শ্যালকের পরচুলা অনেক দর্শকের কাছে হিন্দি ছবির ‘সর্বকালের’ হাস্যকর প্রপস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আলফ্রেড হিচককের সাইকো ছবির গোসলের দৃশ্যকে কাট-পেস্ট করতে গিয়ে রীতিমতো প্যারোডি করেছেন সাজিদ। অজয় অ্যাকশন-দৃশ্যে উতরে গেলেও জিতেন্দ্রর বিখ্যাত ‘ন্যায়নো মে সাপনা’ ও ‘টাকি টাকি’ গানের সঙ্গে নাচতে গিয়ে হাসির পাত্র হয়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে ‘জোকার’ বলতেও কার্পণ্য করেননি। দক্ষিণ থেকে আমদানি তামান্না অভিনয়ে পাস মার্ক পেলেও শ্রীদেবীর নাচের ধারে-কাছে যেতে পারেননি। এ চরিত্রে শ্রীদেবীকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন না বলেই ক্যাটরিনা কাইফ, আনুশকা শর্মারা ছবিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
বোর্ড পরীক্ষার ক্রান্তিলগ্নে, আইপিএলের সপ্তাহে অতি আত্মবিশ্বাসের জোরেই সাজিদ এ সপ্তাহে তাঁর ছবি মুক্তি দিয়েছিলেন। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, ‘আমার ছবি বলিউডের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনবে। রজতজয়ন্তী সপ্তাহ, সুবর্ণজয়ন্তী সপ্তাহ পালন করবে দর্শক। দু-তিন মাস লাগাতার প্রদর্শন হবে হিম্মতওয়ালা।’ বাস্তবতা হলো, অনেক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেই ছবিটি নামিয়ে দুই সপ্তাহ আগের ছবি জলি এল এল বি প্রদর্শন করছেন হলমালিকেরা। আমজনতা এই ছবিকে ‘ফ্লপবাস্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করতেও কার্পণ্য করছে না। একটি ছবি কোনো কারণে মানহীন হতেই পারে। তাই বলে এত সমালোচনার কারণ কী? এর উত্তর দিয়েছেন চলচ্চিত্রবিশ্লেষক তরণ আদর্শ। তিনি বলেন, ‘মা-ছেলের মেলোড্রামা, নায়ক-ভিলেন দ্বন্দ্ব, আশির দশকের প্রেক্ষাপট এখনকার দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। শ্রীদেবী-
শ্রীদেবী নিজেও অবশ্য ছবিটি রিমেক করা নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, হিম্মতওয়ালা কোনো মুঘলে আজম নয় যে রিমেক করতে হবে। প্রত্যুত্তরে ছবি মুক্তির আগে অজয় বলেছিলেন, ‘শ্রীদেবী ঠিকই বলেছেন। হিম্মতওয়ালা মুঘলে আজম নয়। মুঘলে আজম্ল-এর জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আমরা মুঘলে আজম রিমেক করিনি, হিম্মতওয়ালা করেছি। শ্রীদেবী-জিতেন্দ্রর হিম্মতওয়ালাকে আমরা ছাড়িয়ে যাব।’ ছবি মুক্তির পর অবশ্য অজয় এবং নিজেকে হিন্দি ছবির এনসাইক্লোপিডিয়া দাবি করা পরিচালক সাজিদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। হিম্মত হারিয়েছেন হিম্মতওয়ালারা!
রুম্মান রশীদ খান
টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, টুইটার, ফিল্মফেয়ার, বলিউড হাঙ্গামা, বক্স অফিস ইন্ডিয়া, রেডিফ অবলম্বনে
জিতেন্দ্রর হিম্মতওয়ালার রীতিমতো প্যারোডি সংস্করণ করেছেন সাজিদ। প্রেম, ড্রামা, অ্যাকশন, নাচ, গান—কোনো কিছুই উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। তুলনায় এ ছবিতে একটি বাঘ ও পরেশ রাওয়াল হাততালি পেয়েছেন। ভিলেন মহেশ মঞ্জেরকরকে দেখে দর্শক ভয় পাওয়া তো দূরে থাক, তাঁর সংলাপ শুনে হেসে কুটিকুটি হয়েছেন। ভিলেনের শ্যালকের পরচুলা অনেক দর্শকের কাছে হিন্দি ছবির ‘সর্বকালের’ হাস্যকর প্রপস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আলফ্রেড হিচককের সাইকো ছবির গোসলের দৃশ্যকে কাট-পেস্ট করতে গিয়ে রীতিমতো প্যারোডি করেছেন সাজিদ। অজয় অ্যাকশন-দৃশ্যে উতরে গেলেও জিতেন্দ্রর বিখ্যাত ‘ন্যায়নো মে সাপনা’ ও ‘টাকি টাকি’ গানের সঙ্গে নাচতে গিয়ে হাসির পাত্র হয়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে ‘জোকার’ বলতেও কার্পণ্য করেননি। দক্ষিণ থেকে আমদানি তামান্না অভিনয়ে পাস মার্ক পেলেও শ্রীদেবীর নাচের ধারে-কাছে যেতে পারেননি। এ চরিত্রে শ্রীদেবীকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন না বলেই ক্যাটরিনা কাইফ, আনুশকা শর্মারা ছবিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
Post a Comment