টালিগঞ্জে ছবির শুটিংয়ের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। ছবির শুটিং
শুরুর প্রথম দিনে প্রথমেই শয্যা দৃশ্য। আর এ দৃশ্যে নায়িকার বিপরীতে থাকবেন
প্রযোজক কাম অভিনেতা। উদ্দেশ্যটা যে মোটেই ভাল নয় সেটা বুঝতে পেরে
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় রেগে আগুন। শেষ পর্যন্ত ছেড়েও দিলেন
ছবিটি। এই ঘটনা নিয়ে টালিগঞ্জ বেশ সরগরম। পরিচালক শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়ের
প্রথম ছবি ‘মনিহারা’। আর এ ছবিতেই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি
হয়েছিলেন স্বস্তিকা। তাই স্ক্রিপ্ট নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানে
সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘শেষের কবিতা’ ছবির কাজ বাকি ছিল। সেখানে চিত্রনাট্য
পড়ে ভালই লেগেছিল। তবে শয্যা দৃশ্য নিয়ে তার খটকা ছিল। সমপ্রতি কলকাতায়
ফিরে ‘মনিহারা’-র শুটিংয়ের জন্য তৈরিও হয়েছিলেন। কিন্তু শুটিংয়ের আগে
পরিচালকের কাছ থেকে স্বস্তিকা জানতে পারেন, শুটিংয়ে প্রথম যে দৃশ্য
ক্যামেরা বন্দি করা হবে সেটি একটি শয্যা দৃশ্য। আর এই দৃশ্যে তার সঙ্গে
অন্তরঙ্গ হবেন প্রযোজক কাম অভিনেতা অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়। আর এটা জানতে
পেরেই স্বস্তিকা রেগে আগুন। তিনি বলেছেন, শয্যা দৃশ্যে অভিনয় করতে আমার কোন
আপত্তি নেই। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় এই শয্যা দৃশ্যটির পরিকল্পনাই করা হয়েছে
তার সঙ্গে মাখামাখি করার সুযোগ নিতে। আর সেজন্যই প্রযোজক অভিনেতা সেজেছেন।
স্বস্তিকা জানিয়েছেন, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার ব্যাপারে আমার কোন
ন্যাকামি নেই। কিন্তু অভিনেত্রীকে বেশ্যা হিসেবে ভাবার কোন কারণ নেই। তিনি
জানান, সাধারণভাবে মহিলাদের, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের যাতে এইভাবে ব্যবহার
করা না হয় সেজন্যই তিনি ছবির কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছেন। স্বস্তিকা নিজে
টুইট করেই এসব কথা জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের ‘মনিহারা’ গল্পের আধুনিক রূপ
নিয়েই ছবিটি করছেন শুভব্রত। তবে তিনি জানিয়েছেন, স্বস্তিকার কয়েকটি দৃশ্যে
অভিনয় করতে আপত্তি ছিল বলে তাকে বাদ দিয়েই ছবিটি হচ্ছে। স্বস্তিকার
পরিবর্তে নেয়া হয়েছে সোহিনী সরকার নামে এক নতুন অভিনেত্রীকে। অবশ্য এ
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কেন স্বস্তিকার বদলে তাকে নেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন
না। তবে নায়কের সঙ্গে শয্যা দৃশ্য করার ব্যাপারে তার আপত্তির কথা জেনে
পরিচালক কথা দিয়েছেন তাকে এ ব্যাপারে জোর করা হবে না।
Post a Comment